একটি শিক্ষনীয় গল্প!
সক্রেটিস ইতিহাসের নীরব কিংবদন্তি!
সক্রেটিস, সেই মহান দার্শনিক, যিনি তার প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং গভীর চিন্তনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন — এমন একজন স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন, যিনি প্রতিনিয়ত তার সহনশীলতার পরীক্ষা নিতেন। তার স্ত্রী বিখ্যাত ছিলেন তীক্ষ্ণ ভাষা, প্রভাবশালী উপস্থিতি এবং অদম্য রাগের জন্য।
প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সক্রেটিসকে ঘর থেকে বের করে দিতেন, আর সক্রেটিস ফিরতেন সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক আগে।
তবুও, এই কঠিন স্বভাবের স্ত্রীর প্রতি সক্রেটিস সবসময় সম্মান প্রদর্শন করতেন, এমনকি কৃতজ্ঞও ছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, "আমার প্রজ্ঞার অনেকখানি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া। কারণ, এই প্রতিদিনের পরীক্ষাগুলো ছাড়া আমি কখনো শিখতে পারতাম না যে, প্রকৃত জ্ঞান নীরবতায় বাস করে, আর শান্তি মেলে স্থিরতায়।”
একদিন, তিনি যখন তার ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, তখন তার স্ত্রী রাগে চিৎকার করতে করতে এসে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলেন। সক্রেটিস শান্তভাবে মুখ মুছতে মুছতে বললেন, "আহা, বজ্রপাতের পর বৃষ্টি তো স্বাভাবিক!"
তার জীবনের দাম্পত্য অধ্যায়ের সমাপ্তি আসে আরেকটি উত্তাল মুহূর্তে, যখন তিনি যথারীতি শান্ত ও নিশ্চুপ ছিলেন, আর তার স্ত্রী রাগে অস্থির হয়ে ওঠেন। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সেই রাতেই তার স্ত্রীর হৃদরোগে মৃত্যু ঘটে। সক্রেটিস তখনও স্থির — যেন কোনো বিশাল পাহাড়।
ইতিহাসে তার স্ত্রীর নাম বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু সক্রেটিসের নীরব সহনশীলতা আজ কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে।
এটি কেবল একটি দাম্পত্য দ্বন্দ্বের গল্প নয় — এটি এক স্মরণিকা: শক্তি সবসময় শব্দে নয়, অনেক সময় নীরবতায় প্রকাশ পায়। আর জীবনের কঠিনতম মুহূর্তগুলোতেই আসে সবচেয়ে বড় শিক্ষা।
(সংগৃহীত)
You must be logged in to post a comment.