পৃথিবীর অদ্ভুত কিছু স্থান!

পৃথিবীর অদ্ভুত কিছু স্থান!

মানব সভ্যতা আজ চাঁদ/মঙ্গল/ছায়া পথ পেরিয়ে অনন্ত মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, একে একে যট খুলছে হাজার হাজার বছরের অমীমাংসিত মহাজাগতিক প্রশ্নের।চমকপ্রদ তথ্যের ভাণ্ডারে আমরা নিত্য দিন সমৃদ্ধ হচ্ছি।কিন্তু আমাদের চেনা এই পৃথিবীর বহু রহস্যে আজও রয়েগেছে অমীমাংসিত।আধুনিক বিজ্ঞান ও এই সকল রহস্যের সামনে খুব ই অসহায় হয়ে পরে।আজও অতিপ্রাকৃত্রিক /ভৌতিক এই স্থান গুলি বিজ্ঞানীর/বিজ্ঞানের,ব্যাখ্যার বাইরে স্বতন্ত্র ভাবে মানুষ মননে কৌতহল সৃষ্টি করে। 

 বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল( আটলান্টিক ওসেন)

ছবি সংগৃহিত :

 বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল /শয়তানের ত্রিভূজ, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান জাহাজ/ উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েযায়,জাহাজ /উরোজাহাজের যন্ত্র /কম্পাসের কাটা অসভাবিক আচরণ করে। প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক কোনো উত্তর আজও মেলেনি।

 

 ক্যাটাটুম্বো লাইটনিং(ভেঙেজুয়েলা)

ছবি সংগৃহিত :

ক্যাটাটুম্বো নদীর নাম অনুসারেই এর নামকরণ।২০১৫-য় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে 'ক্যাটাটুম্বো লাইটনিং'-এর। মিনিটে ২৮বার বজ্রপাত, বছরে ৩০০ দিন ঝড় এর আগে এই রেকর্ড কঙ্গোর কিফুকা শহরের দখলে ছিল। বিজ্ঞানী দের মধ্যে মতভেদ থাকলেও এর মোটামুটি একটি ব্যাখ্যা : ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকেআগত উষ্ণ বাতাস অতিক্রম করতে পারেনা,পাহাড় ঘেরা মারাকাইবো লেক।সেই উষ্ণ বাতাস পাহাড়ে বাধা প্রাপ্ত হয় ও আন্দিজ পর্বত্ব অঞ্চলের পদদেশের থেকে ওঠা ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ মেঘের সৃষ্ট হয়ে থাকে।যা থেকে প্রতি মিনিটে গড়ে ২৮বার বজ্রপাত হয়।

 

 রক্তের জলপ্রপাত (এন্টার্টিকা )

ছবি সংগৃহিত :

 স্থান টি সাধারণ মানুষের ধরা ছোয়ার বাইরে (এন্টার্টিকা)। বিজ্ঞানী মহলে জেই যুক্তি গুলো দাওয়া হয়ে থাকে, অনুজীব এর ফলে এমন টা ঘটতে পারে/জলপ্রপাতের উৎপত্তি স্থলে বরফের নিচে থাকা বিপুল পরিমান আয়রণ ও সালফার এর কারনে জলের রঙ লাল হয়ে থাকে । 

 

ম্যাগনেট পাহাড়( নিউ ব্রান্সউইক)

ছবি সংগৃহিত :

 এই স্থনে মাধ্যকর্ষণ শক্তি বিপরীত দিকে অনুভূত হয়ে থাকে। কোনো গাড়ি নিউট্রালে এইপর্বতে রাখলে ঢাল বেয়ে নিচে না গড়িয়ে গিয়ে তা উপরদিকে উঠতে থাকে। অনুভূতি আসবে কোনো বিশাল এক চুম্বক তাকে আকর্ষণ করছে।দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের অতি প্রিয় স্থান এটি।

 

 সুর্টসে (আইসল্যান্ড)

 ছোবি সংগৃহিত:

 একটি ভুমিকম্পের ফলে রহস্যজনক ভাবে হঠাৎ জন্ম। ১৯৬৩ সালের আগে অস্তিত্বই ছিলো না।এর আশেপাশের জল লবনাক্ত হলেও অদ্ভুত ভাবে,এর মাঝখানের লেক টির জল পান যোগ্য /মিষ্টি।

 

 মাউন্ট রোরাইমা (ব্রাজিল )

 ছবি সংগৃহিত :

 মাউন্ট রোরাইমা পর্বতমালা (স্থানীয় নাম টিপুই)।৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এর অবস্থান চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। স্থান টি অত্যন্ত দুর্গম ও স্যাতসেতে সর্বদা ঘনো মেঘের কুন্ডুলি দারা আবৃত,যা একে বিখ্যাত করে তুলেছে যা একে করেতোলে আরো রহস্যময়। একমাত্র ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়। 

 

 আওকিঘারা (জাপান )

ছবি সংগৃহিত :

 জাপানের আওকিঘারা জঙ্গলটি একটি রহস্যময় অনচল ।জাপানের ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর স্থান জুড়ে অবস্থিত এই জঙ্গলটি আত্মহত্যা করবার জন্য পৃথিবীর দ্বিতীয় জনপ্রিয় স্থান। স্থানীয়দের কাছে এটি ভৌতিক স্থান।পঞ্চাশের দশক থেকে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক লোক এখানে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা করবার জন্য এইটি পৃথিবীর দ্বিতীয় জনপ্রিয় স্থান। এই জঙ্গলটি জাপানীদের কাছে আত্মহত্যা করার জায়গা হিসেবে পরিচিত।১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এখানে গড়ে একশত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রতি বছর। ১৯৯৮ সালে ৭৪ টি, ২০০২ সালে ৭৮ টি।২০০৩ সালে এই সংখ্যা ১০০ তে গিয়ে পৌছায়। পরবর্তীতে ২০০৪সালে ১০৮টি । ২০১০ সালে ২৪৭ জন আত্মহত্যার উদ্দেশে এই জঙ্গলে প্রবেশ করলেও ৫৪ জন সফল হয়েছিলো। বর্তমানে দেশটির স্থানীয় সরকার এই হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। শখানেক মৃতদেহ এই জঙ্গল থেকে প্রতি বছর উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে আত্মহত্যা রোধে। 

 

 ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী (এন্টার্টিকা)

ছবি সংগৃহিত :

 ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী জনমানবহীন উপত্যকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক স্থান গুলির অন্যতম।এর অবস্থান এন্টার্কটিকায় বরফ / তুষারের মধ্যস্থলে হলেও প্রতিবছর মাত্র ৪ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। সম্পূর্ণ বরফশূন্য ও খালি এই অঞ্চলে কিছু শৈবাল জন্মালেও কোন গাছপালা নেই। স্থানটির অদ্ভূত মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের সাথে।

 

 মগুইচেং (চায়না)

 

ছবি সংগৃহিত :

 চীনের ঝিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মরুভূমি মগুইচেং(শয়তানের নগরী)। সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত জনমানব শূন্য। রহস্যময় আওয়াজ/ বিষন্ন সুর/ মৃদু বাদ্য যন্ত্রের ধ্বনি/শিশুর কান্না এখানে শোনাযায় কিন্তু শব্দের উৎসের সন্ধান আজো মেলেনি ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Popular News
Jul 16, 2025, 8:20 AM Newshungar